• মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:৩৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম

টর্চার সেল ‘জিনিয়া রিসোর্ট’র বার্মায়া জমির কারাগারে

নিজস্ব প্রতিবেদক: / ৭০ বার ভিউ
আপডেট সময় : শনিবার, ১৬ মার্চ, ২০২৪

কক্সবাজার কলাতলী হোটেল মোটেল জোনের আলোচিত মাদক কারবারি ও পতিতা ব্যবসায়ী জমির ওরফে বার্মায়া জমির মানবপাচার মামলায় অবশেষে কারাগারে। কলাতলী হোটেল ‘জিনিয়া রিসোর্ট’ এর অপকর্মের হোতা কলাতলী সৈকত পাড়া এলাকার নজির আহম্মদের ছেলে জমিরসহ অনেকের বিরুদ্ধে গত মাসের ২৫ ফেব্রুয়ারি কক্সবাজার সদর মডেল থানায় একটি মানবপাচার আইনে মামলা দায়ের হয়। পুলিশ বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। ওই মামলায় আদালতে জামিন প্রার্থনা করলে জামিন না মঞ্জুর করে জমিরকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়।
এরআগে আলোচিত মাদক কারবারি জমিরের বিরুদ্ধে হোটেল ‘জিনিয়া রিসোর্ট’র নানান অপকর্ম তুলে ধরে তথ্যবহুল সংবাদ প্রকাশিত হয়েছিল সংবাদ মাধ্যমে। এরপর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ বিভিন্ন দপ্তরে নজরে আসে বার্মায়া জমির।

এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে- জমির একজন বার্মায়া। ২০১৬ সাল থেকে হোটেল মোটেল জোনে তার বিচরণ শুরু। কলাতলী সৈকত পাড়া ও হোটেল মোটেল জোনে চিহ্নিত মাদক কারবারি হিসেবে খ্যাতি রয়েছে জমিরের। এছাড়া পতিতাও সরবরাহ দেন জমির। তার পরিবারের অনেক সদস্য এসব অপরাধের সাথে সরাসরি জড়িত। আলোচিত হোটেল জিনিয়া রিসোর্টে আশ্রয় নিয়ে এসব অপকর্ম চালান জমির। জমিরের ইয়াবা নিয়ে জিনিয়া রিসোর্ট থেকে আটকও হয়েছিল দারোয়ান ইসহাক। এখন জেল থেকে বের হয়ে ফের জিনিয়া রিসোর্টে চাকরি করছে ইসহাক।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে- জমির বহু অপরাধের সাথে সরাসরি জড়িত। বিভিন্ন পেশার লোকজনকে ম্যানেজ করেই এসব অবৈধ কার্যক্রম চালান জমির। এমনকি তার এক ফোনে পুলিশ সদস্যও ঘটনাস্থলে হাজির হওয়ার জনশ্রুতি রয়েছে এলাকায়।

জানা যায়- প্রায় দেড় বছর আগে রামুর জনৈক আপেল বড়–য়া নামে একব্যক্তিকে কৌশলে আটকিয়ে রাখা হয়েছিল কক্সবাজার কলাতলী সৈকত পাড়ার আলোচিত জিনিয়া রিসোর্টে। জিনিয়া রিসোর্টের তৃতীয় তলায় ডি-টু ফ্ল্যাটে আটকে রেখে আপেল বড়–য়াকে ব্যাপক মারধর করে জমির। ডি-টু ফ্ল্যাটের মালিক সাইফুল নামে একব্যক্তির। সাইফুলের ফ্ল্যাটে আপেল বড়–য়াকে বেঁধে দফায় দফায় মারধর করে জমির ও তার লোকজন। মারধরের পরও নগদ টাকা ও ইয়াবা না দেওয়ায় পুলিশের এক সদস্যকে ফোন করে জমির। জমিরের ফোন পেয়ে সাদা পোশাকে জিনিয়া রিসোর্টের ওই ফ্ল্যাটে হাজির হন ওই পুলিশ সদস্য। এরপর আপেল বড়–য়াকে গ্রেপ্তারের হুমকি দিয়ে আদায় করা হয় নগদ ৭০ হাজার টাকা, ল্যাপটপ এবং ইয়াবা ট্যাবলেটও। এরপর ছেড়ে দেওয়া হয় আপেল বড়–য়াকে। ভাগভাটোয়ারা করা হয় লুট করা ইয়াবা ও নগদ টাকা গুলো।

কয়েক মাস আগে জিনিয়া রিসোর্ট থেকে ঈদগাঁও এলাকার এক যুবককে সিএনজি টেক্সী যোগে জোরপূর্বক অপহরণ করে শহরের রুমালিয়ারছড়া এলাকায় নিয়ে যান বার্মায়া জমির, মনিরুল ইসলাম মানিক ও রুমালিয়ারছড়া এলাকার জিসানসহ একদল দুর্বৃত্ত। সেখানে একটি ঘরে ওই যুবককে আটকিয়ে রেখে ব্যাপক নির্যাতন করা হয়। নির্যাতন চালিয়ে আদায় করা হয় নগদ টাকা ও মোবাইল সেট। এই ঘটনায় জিনিয়া রিসোর্টে পুলিশও গিয়েছিল।

সম্প্রতি সময়ে সৈকত পাড়ার পাহাড়ের উপর গভীররাতে এক যুবককে ব্যাপক নির্যাতন চালান জমিরসহ তার বাহিনীর সদস্যরা। রাত দেড়টার দিকে এক যুবককে পাহাড়ে নিয়ে যান জমির ও তার মাদক কারবারির বাহিনীরা। সেখানে প্রায় দুই ঘন্টা নির্যাতন চালানো হয়। ওই সময় নির্যাতনের শিকার এই যুবকের চিৎকারে আশপাশে লোকজনের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এবিষয়টি পুরো এলাকাবাসী অবগত।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো নিউজ পড়ুন