• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০২:২১ অপরাহ্ন
শিরোনাম
রামুতে ২ কেজি ক্রিস্টাল মেথ আইসসহ আটক ১ কক্সবাজারে জলকেলি উৎসবে বিভিন্ন প্যান্ডেল পরিদর্শনে মেয়র মাহাবুব বাংলাবাজার-খুরুশকুল সড়কে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে সংস্কার টর্চার সেল ‘জিনিয়া রিসোর্ট’র বার্মায়া জমির কারাগারে কলাতলী কবিরের ইয়াবা লুট ‘পুলিশের সোর্স’ পরিচয়ে টইটংয়ে গভীর রাতে সংরক্ষিত বনে স্থাপনা নির্মাণ রামুতে প্রবাসীর বাড়িতে হামলা ভাঙচুর–লুটপাট : আটক ২ ডিবিসি নিউজ টেলিভিশনের ডিজিটাল মিডিয়া’র টেকনাফ প্রতিনিধি নিয়োগ পেলেন সাংবাদিক শাহীন কক্সবাজারে ‘পেশাদার প্রেমিক’ আজিজের ফাঁদে বহু নারীর সর্বনাশ মোটিভেশনাল স্পিকার সুশান্ত পালের বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান

নারীকে আমরা কতটুকু নিরাপদ রেখেছি?

নিজস্ব প্রতিদেক / ২৬৮ বার ভিউ
আপডেট সময় : মঙ্গলবার, ৯ মার্চ, ২০২১

সানজীদুল আলম সজীব:

নারীকে কতটুকু নিরাপত্তা দিতে পেরেছে আমরা? কতটুকুই বা নিরাপদ রেখেছি? কেমনইবা নারীর অধিকার রক্ষায় সচেষ্ট হয়েছি?

আজ ৮ মার্চ, বিশ্ব নারী দিবসে এমন হাজারো প্রশ্নের উত্তরের খোঁজ করতে গিয়ে বার বার ব্যর্থ হচ্ছিলাম। নারী দিবসে প্রতি বছরই সেমিনার, ওয়ার্কশপ থেকে শুরু করে নানা ধরনের সচেতনতা মূলক কর্যক্রম পরিলক্ষিত হয়। তবে বার বার দেখছি নারীর প্রতি সহিংসতা ক্রমশই বৃদ্ধি পাচ্ছে।

করোনা মহামারিতে গোটা দেশ যখন বিপর্যস্ত, মানুষ যখন ঘর বন্দী। মানুষের সীমিত চলাচলের কালেও নারীর প্রতি পারিবারিক, সামাজিক ও যৌন সহিংসতা কমেনি, বরং বেড়েছে।

আমরা পারিনি একজন বাবা হয়ে নিজের কন্যাকে নিরাপদ রাখতে, পারিনি একজন ভাই হয়ে বোনকে সুরক্ষা দিতে, পারিনি শ্বশুর হয়ে পুত্রবধূকে নিরাপদ রাখতে। একজন প্রেমিক হয়ে প্রিয়তমাকে আগলে রাখতে । এমন হাজারো উদাহরণ আছে।

তবে আমরা কী পেরেছিলাম?

আমরা সবসময় নারীর পোষাককে দায়ী করেছি, নারীর চলাফেরাকে দায়ী করছি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সবসময় আমরা দুটি ভাবে বিভক্ত হয়ে গেছি। দেখা যায় একটি পক্ষ নারীকে দোষারোপ করেছে, অন্য একটি পক্ষ পুরুষদের।

তাহলে দোষ কার??

দোষ সমাজের, দোষ পরিবারের। তাহলে কী করছে আমাদের পরিবার বা সমাজ।

একজন শিশুর প্রথম পাঠশালা হলো পরিবার। তার পারিবারিক শিক্ষা তাকে চারিত্রিক দিক থেকে সুশিক্ষিত করবে। পরিবারের পরেই সমাজ। কেমন সমাজে বেড়ে উঠছে, চারপাশে প্রতিনিয়ত কী ঘটছে, তা নিত্যই উপলব্ধি করে একজন শিশু। একটি ভাল সমাজই পারে একটি সুন্দর এবং নারীর প্রতি সহিংসতা মুক্ত দেশ গড়তে।

মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালের নভেম্বর পর্যন্ত দেশে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ১৫৪৬ জন নারী। ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে ৫১ জনকে, আত্মহত্যা করেছেন ১৪ জন। এছাড়া ৯৭৪ জন শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। সর্বমোট ২৫৮৫ জন নারী-শিশু সহিংসতার শিকার হয়। পরিসংখ্যান বলছে বিগত ২০১৮ এবং ২০১৯ সালের রেকর্ডকে অতিক্রম করেছে ২০২০ সাল।

যদিও আমাদের সামাজিক ব্যবস্হার যাঁতাকলে চাপা থেকে যায় অনেক নিপিড়ন, ধর্ষণের মত ঘৃন্যতম ঘটনা।

আমরা আজকে লাজলজ্জার ভয়ে যে ঘটনা চাপিয়ে ফেলছি আরেক দিন সেটা আপনার শিশু কন্যার ক্ষেত্রেও হতে পারে। তাই আমাদের সবসময় সচেতন থাকতে হবে, অন্তত নিজের দিক বিবেচনায় রেখে সচেতন থাকবো।

কাজী নজরুল ইসলামের ভাষায় বলতে চাই তাহলে–

“বিশ্বের যা কিছু মহান সৃষ্টি চির কল্যাণকর
অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর।”

নারী- পুরুষ একে অপরের পরিপূরক। আমাদের পরিবারের কোন নারী যেমন বাইরে গেলে সংশয়ে থাকি, যে কোথায় আছে কেমন আছে? ঠিক তেমনি অন্যের পরিবারের নারী সদস্য অর্থ সকল নারী যাতে আপনার আমার কাছে নিরাপদ থাকে।

আমরা বেগম রোকেয়ার মত নারী বাদী হই। সকলকে নারী দিবসের শুভেচ্ছা৷

লেখক: তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক, রিপোর্টার্স ইউনিটি কক্সবাজার ও রিপোর্টার, দি টেরিটোরিয়্যাল নিউজ (টিটিএন)।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো নিউজ পড়ুন