• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:৫০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
কক্সবাজারে সাংবাদিক বাপ্পি শাহরিয়ারের বিরুদ্ধে মামলা : ক্র্যাকের নিন্দা রামুতে ২ কেজি ক্রিস্টাল মেথ আইসসহ আটক ১ কক্সবাজারে জলকেলি উৎসবে বিভিন্ন প্যান্ডেল পরিদর্শনে মেয়র মাহাবুব বাংলাবাজার-খুরুশকুল সড়কে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে সংস্কার টর্চার সেল ‘জিনিয়া রিসোর্ট’র বার্মায়া জমির কারাগারে কলাতলী কবিরের ইয়াবা লুট ‘পুলিশের সোর্স’ পরিচয়ে টইটংয়ে গভীর রাতে সংরক্ষিত বনে স্থাপনা নির্মাণ রামুতে প্রবাসীর বাড়িতে হামলা ভাঙচুর–লুটপাট : আটক ২ ডিবিসি নিউজ টেলিভিশনের ডিজিটাল মিডিয়া’র টেকনাফ প্রতিনিধি নিয়োগ পেলেন সাংবাদিক শাহীন কক্সবাজারে ‘পেশাদার প্রেমিক’ আজিজের ফাঁদে বহু নারীর সর্বনাশ

মহেশখালীর সাবেক মেয়র-চেয়ারম্যানসহ ৬ জনের যাবজ্জীবন

নিজস্ব প্রতিদেক / ৭৭ বার ভিউ
আপডেট সময় : বৃহস্পতিবার, ১ ডিসেম্বর, ২০২২

জয়নাল উদ্দিন:
কক্সবাজারের মহেশখালীতে তিন দশকেরও বেশি সময় আগে তৎকালীন জেলা পরিষদ সদস্য খাইরুল আমিন সিকদারকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা মামলার ছয় আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে সাবেক পৌর মেয়র, বর্তমান উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এবং সাবেক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রয়েছেন। কারাদণ্ডের সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ১ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) দুপুর ২টার দিকে কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আব্দুল্লাহ আল মামুন এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ে ২০ আসামিকে খালাস দিয়েছেন আদালত।

দণ্ডিতরা হলেন, মহেশখালী পৌরসভার সাবেক মেয়র সরওয়ার আজম, তার ভাই ও বর্তমান উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মৌলভি জহির উদ্দিন এবং অপর ভাই নাসির উদ্দিন, বড় মহেশখালী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শামসুল আলম, অ্যাডভোকেট হামিদুল হক, সাধন দাশ। রায় ঘোষণার সময় সাধন দাশ ছাড়া অপর ৫ আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ফরিদুল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আদালতের পর্যাবেক্ষণের বরাতে তিনি বলেন, ‘আদালত মনে করছেন এটি একটি রাজনৈতিক বিরোধে ঘটে যাওয়া হত্যাকাণ্ড। এতে ছয় জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় সাজা দেয়া হয়। আর ২০ জনকে খালাস দেয়া হয়।’

এজাহারের বরাতে তিনি জানান, ১৯৯০ সালের ৯ এপ্রিল বিকেল পাঁচটার দিকে মহেশখালীর গোরকঘাটা বাজারে গুলিতে খুন হন তৎকালীন জেলা পরিষদ সদস্য খাইরুল আমিন সিকদার। তিনি গোরকঘাটা এলাকার হামজা মিয়া সিকদারের ছেলে। ওই দিন নিহতের বড় ভাই মাহমুদুল করিম বাদী হয়ে মহেশখালী থানায় মহেশখালীর সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান নুর বক্স, পুটিবিলার বাসিন্দা ও মহেশখালী পৌরসভার সাবেক মেয়র সরওয়ার আজম, শামশুল আলম, নাসির উদ্দিন, হামিদুল হকসহ ২৫ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ফরিদুল আলম আরও জানান, পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ঘটনার তদন্ত করে এজাহারভুক্ত ২৫ জনসহ ২৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন ১৯৯০ সালের ২২ নভেম্বর। পরে ২০০৩ সালের ২৭ জুলাই আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত। মামলায় ৩৪ জনের সাক্ষ্য প্রদান শেষে আদালতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন হয়েছিল ২০২১ সালের ২৩ নভেম্বর। যুক্তিতর্ক শেষে আদালত রায় ঘোষণা করেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো নিউজ পড়ুন